আব্দুস সালাম,টেকনাফ(কক্সবাজার) :
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সমুদ্রবন্দরে ২ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-পথে জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। ফলে শনিবার সেন্টমার্টিনে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা আটকা পড়েছেন। তাদের আরও একদিন দ্বীপে অবস্থান করতে হবে।

রবিবার (১৯মার্চ) সকাল থেকে টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট থেকে পর্যটকবাহী কোনো জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়নি।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজামান এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘দুর্ঘটনা এড়াতে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী কোনো জাহাজ সেন্টমার্টিনদ্বীপে যেতে দেওয়া হয়নি। যেসব পর্যটক টিকিট কেটেছিলেন তাদের টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দ্বীপে অবস্থানকারী পর্যটকরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সৈকতে পর্যটকদের না নামতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে আবার জাহাজ চলাচল শুরু হবে।’

সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, বেড়াতে আসা সেন্টমার্টিনদ্বীপে হাজারো পর্যটক অবস্থান করছেন। তাদের আজ ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় তাদের আজও দ্বীপে অবস্থান করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দ্বীপে আবহাওয়া স্বাভাবিক রয়েছে। তবুও পর্যটকরা যাতে সমুদ্রে গোসল করতে না নামেন, সে বিষয়ে মাইকিং করে সর্তক করা হচ্ছে।’ তবে এ নিয়ে পর্যটকদের মধ্যে এখনো পর্যন্ত কোনো আতঙ্ক নেই বলে জানা গেছে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা ও টুরিজম ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদ বলেন, হাজারো পর্যটক এখনো দ্বীপে অবস্থান করছে। এ ছাড়া তাঁর কটেজে যেসব পর্যটক রয়েছেন, তারা দুদিনের জন্য কক্ষগুলো ভাড়া নেন। যেহেতু সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। যে কোন সময় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পর্যটকেরা ফিরে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

সেন্টমার্টিনদ্বীপে বেড়াতে আসা গাজীপুরের এক ব্যবসায়ী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসে আটকা পড়েছি। আমার পরিবার একা নয় অনেকেই আটকা পড়েছেন। সমুদ্র উত্তালের কারণে আজ কোনও জাহাজ দ্বীপে আসবে না। ফলে আমাদের আরও একদিন দ্বীপে অবস্থান করতে হবে।’

পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি সিন্দবাদ ও কেয়ারি ডাইনিং এন্ড ক্রুজের টেকনাফের ব্যবস্থাপক শাহ আলম বলেন, দুর্যোগপূর্ণ
আবহাওয়ার কারণে সমুদ্র উত্তাল থাকায় কোনও জাহাজ দ্বীপে যায়নি। দ্বীপে বেড়াতে এসে অনেক পর্যটক আটকা পড়েছেন। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে তাদের ফিরিয়ে আনা হবে।’

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের ট্রাফিক সুপারভাইজার জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘শনিবার এই নৌ-পথে ছয়টি জাহাজে করে হাজারের বেশি পর্যটক দ্বীপে বেড়াতে আসে। তাঁদের আজকে ফেরা হবে না। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে ফের জাহাজ চলাচল শুরু হবে।